একটা সুখী সম্পর্ক, একটা সুখের সংসার সবারই প্রত্যাশা। সবারই চাহিদা থাকে এটা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সুখের সংসার গড়তে গিয়ে মহিলারা এমন কিছু করে বসেন যাতে, তাদের সম্মান অনেকটাই ক্ষুণ্ণ হয়। সুখের সংসার গড়তে গিয়ে নিজের সুখ, খুশিকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। এতে আপনার পুরুষ সঙ্গীটিও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সব সময় সাহায্য করার মানসিকতা : আপনার স্বামী কিংবা পুরুষ সঙ্গীটিকে সব সময় সাহায্য করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। এতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আপনার স্বামী কিংবা পুরুষ বন্ধুটি সমস্যায় পড়েন।
দামী উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন : আপনি সব সময় আপনার স্বামী কিংবা সঙ্গীকে দামী উপহার দিতে পছন্দ করেন। আপনিও উল্টো দিকের মানুষটির কাছ থেকে দামি উপহারই পেয়ে থাকেন। কিন্তু এমন সময়ও হয় যখন, তার হাতে হয়ত মূল্যবান গিফট কেনার মত টাকা নেই। কিন্তু আপনার কাছে ছোট হয়ে যাওয়ার ভয়ে দামি উপহার কিনতে তিনি বাধ্য হন। সে কারণে সব সময় স্বামী কিংবা পুরুষ বন্ধুটিকে দামি উপহার কিনে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পুরুষের আবেগকে সম্মান জানান : অনেক মহিলাই ভাবেন যে তাদের তুলনায় তার স্বামী কিংবা সঙ্গী অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। পুরুষদের কাছে সেই সব মহিলাদের সম্মান খানিকটা কম। সেই কারণে পুরুষের আবেগকেও সম্মান জানান।
আগে যেমন ছিলেন ঠিক তেমনি থাকুন : সম্পর্কে যাওয়া মানে নিজের ক্যারিয়ার, নিজের পছন্দ, বন্ধু-বান্ধবের থেকে দূরে সরে যাওয়া নয়। তাই আগে যেমন চলতেন পারলে এখনো ঠিক তেমনিভাবে চলার চেষ্টা করুন।
সাজগোজের ক্ষেত্রে সঙ্গীর পছন্দকে গুরুত্ব দিন : নিজেকে সুন্দর দেখাক সেটা তো সবাই চায়। কিন্তু আপনার পুরুষ সঙ্গী যদি আপনাকে মেকআপ ছাড়া, খুব সাধারণ ভাবে দেখতে চান, তবে তার এই আবদারটুকুকে গুরুত্ব দিন।